বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর খিলগাঁও পল্লীমা স্কুলের সামনে পরিবহন শ্রমিক সোহেলকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ এবং গুমের মামলায় বহিষ্কৃত সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক আতিকুজ্জামান সালমান এফ রহমান ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। এ ছাড়া জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. তহিদুল ইসলাম।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

সোহেলকে হত্যাচেষ্টার মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন শহীদ বাকি সড়ক খিলগাঁও পল্লিমা স্কুলের সামনে আন্দোলনে যুক্ত হন মো. সোহেল। তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে সরকার দলীয় সমর্থকসহ পুলিশ ছাত্র-জনতার দিকে ইট পাটকেল, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছড়া গুলিসহ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছড়া গুলিতে আহত হন সোহেল।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। দুদিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাকে দুটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে জামিন পেয়ে তৌহিদুল ইসলাম এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলে সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জিয়াউল আহসান, ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীনসহ ১০ সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।