আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এরআগে, বুধবার তার আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন জানিয়ে ছিলেন বৃহস্পতিবার তার পক্ষে আপিল করে জামিন চাওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করব। সেইসঙ্গে তার জামিন চেয়ে আবেদন করব। আপিল আবেদন গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে আমরা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

এরআগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

ওইদিন আত্মসমর্পণের আগে মাহমুদুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আজকে আত্মসমর্পণ করেছি। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। এ মামলা পুরোটাই সাজানো ও সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। তৎকালীন সরকার ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা চালু রাখতে আমার বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে।

আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমিন ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

আদালতে শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে এই মামলার জন্ম হয়। এটা একটা পাতানো মামলা। এখানে মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তারা বলেন, গত ১৬ বছর একটি সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ওই সরকারের প্রতি জনগণের কোনো সমর্থন ছিল না। জোর করে তারা ক্ষমতায় ছিল। মাহমুদুর রহমান দৃড়ভাবে ওই সরকারের সমালোচনা করতেন। সেই কারণে মামলার মুখমুখি হতে হয়েছে। বহুবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তাকে হত্যার মুখোমখি হতে হয়েছে। শুধু তাই না, একটা পর্যায়ে তাকে জোর করে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছি।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযো গপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদ- দেন আদালত। কারাদ-প্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা করেন।

এদিকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকলে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন মাহমুদুর রহমান।