কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এক তরুণীকে ছয় বন্ধু মিলে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাঙ্গলকোট উপজেলার মকরবপুর এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে রাসেল (২০) ও একই উপজেলার জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে শিবলু (১৯)। গ্রেফতারকৃত দুই যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।অ
বুধবার (০৮ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন তারা। এর আগে গণধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে ৭-৮ মাস ধরে একই এলাকার ফয়সালের (২৩) প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ২ জুলাই বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান ওই তরুণী।
৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রেমিক ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকা থেকে নাঙ্গলকোটে ফিরে আসেন তিনি। সেখানে আসার পর তরুণীকে তুলাপুকুরিয়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান প্রেমিক ও তার পাঁচ বন্ধু। ওই দিন রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত আটকে রেখে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করেন প্রেমিক ও তার পাঁচ বন্ধু। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তরুণী। মামলার পর অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশ্রাফুল ইসলাম।
আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, আদালতে দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ঘটনার মূল হোতা ফয়সালসহ অপর চারজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।