আপনার প্রকৃত সৌন্দর্য চাপা দিয়ে নকল সৌন্দর্যই হলো মেকআপ। আবার মেকআপকে অনেকে বলেন গোপন সৌন্দর্যের প্রস্ফুটন। নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নারীরা এখন নো মেকআপ লুকে বেশি ঝুঁকেছেন।

সাজব কিন্তু দেখলে মনে হবে সাজিনি—এ ধরনের সাজই নো মেকআপ লুক। চেহারায় কয়েক স্তরের মেকআপ থাকলেও দেখে বোঝা যাবে না। করোনার ঠিক আগে আগে এই লুকটি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। মডেল এবং মেকআপ করতে পছন্দ করেন, এমন মানুষের ত্বকের ওপরই পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছিল বেশি। আর এখন তো বিয়ের কনেরাও এই মেকআপের দিকে ছুটছেন।

মেকআপের উপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। এখনকার সময়ে গাঢ় মেকআপের ব্যবহার চোখে কম পড়ছে। কারণ ত্বককে যত বেশি মেকআপের হাত থেকে নিস্তার দেওয়া যায়, ততই ভালো! শুধু ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং আর সানস্ক্রিনের উপরে থাকতে পারলে ত্বক ভালো থাকে।

অফিস কিংবা ক্লাসের জন্য প্রতিদিন বাইরে বেরোতেই হয়। সেখানে তো একেবারে সাদামাটা মুখে যাওয়া যায় না! সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ঠিক কীভাবে আর কতটুকু মেকআপ করলে ত্বকের উপর চাপ পড়বে না বেশি? সেজন্য আপনাকে বেছে নিতে হবে নো মেকআপ লুক।

ত্বক ও সৌন্দর্যের জন্য মিনিমাম মেকআপই সবচেয়ে ভালো। ফাউন্ডেশনের বদলে আস্থা রাখুন বিবি অথবা সিসি ক্রিমে। অথবা শুধু প্রাইমার লাগিয়ে নিলেও ত্বক মসৃণ দেখাবে। কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে সেট করে নিন।

চোখে উপরের আর নিচের পাতায় পেনসিল লাইনার লাগিয়ে নিন। ইচ্ছে করলে উপরের পাতার লাইনার সামান্য স্মাজ করে নিতে পারেন, একটা স্মোকি এফেক্ট আসবে। ব্লাশ অন বা হাইলাইটার লাগানোর দরকার নেই। ক্রিম-বেসড লিপস্টিক লাগিয়ে নিন ঠোঁটে! এতেই আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা।