ইসরায়েলি বাহিনীর গ্লিলট ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ ৮২০০ ইউনিটের সদর দপ্তর এই ঘাঁটিতে অবস্থিত।

লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের বাহিনীর গ্লিলট ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘাঁটিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ বলে পরিচিত ৮২০০ ইউনিটের সদর দপ্তর অবস্থিত।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে কাছে অবস্থিত গ্লিলট ঘাঁটিটি লক্ষ্য করে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত মুহুর্মুহু রকেট নিক্ষেপ করেছে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা।

হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তবে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী মাত্র ২টি দূরপাল্লার রকেট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া রকেটের আঘাতে মধ্যাঞ্চলীয় শহর হারজলিয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইয়েনেত।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এবং লেবানন প্রতিবেশী দেশ। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনাগুলোর অবস্থানও ইসরায়েলের সীমান্তঘেঁষা দক্ষিন লেবাননের গ্রামগুলোতে।

ইরানের প্রত্যক্ষ মদত ও সমর্থনপুষ্ট হিজবুল্লাহ সামরিক স্থাপনা, যোদ্ধার সংখ্যা এবং মজুতকৃত অস্ত্রের পরিমাণের হিসেবে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী। ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ গোষ্ঠীটি শুরু থেকেই ইসরায়েলকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লেবাননের সরকার কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহর সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তবে আড়ালে থেকে দেশটির ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে গোষ্ঠীটি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে উত্তর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, তবে সেই হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে গোষ্ঠীটি বাড়িয়েছে ২০২৩ সালে গাজায় হামাস এবং ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি