হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা এই তো আর কদিন পরই শুরু হবে। কেনাকাটা তো চলছেই উৎসবের প্রস্তুতি হিসাবে ।

কিন্তু এর মধ্যে সারা সপ্তাহ কাজের চাপ তো লেগেই আছে। তার উপর প্রায় রাতে ঘুমোতে দেরী হয়ে যায়, শুলেও ঘুম আসে না, মানসিক চাপের মতো নানা কারণ লেগেই থাকে।

ফলে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্তি লেগে থাকে চোখেমুখে। উৎসবের আনন্দে শুধু মেকআপ দিয়ে এই ক্লান্তি কিন্তু ঢেকে রাখতে পারবেন না। তবে হ্যা, মেকআপের কিছু বিশেষ কৌশল জানা থাকলে তা দিয়ে মুখের ক্লান্তভাব কিছুটা আড়াল করতে পারবেন।

চলুন জানি তেমনই কিছু টিপস!

গোলাপজলে ক্লান্তি কাটান
সতেজতার সঙ্গে সুগন্ধ পেতে হলে আপনার সবচেয়ে আগে প্রয়োজন গোলাপজল। স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে ব্যাগে রেখে দিন। সারাদিন ঘোরাঘুরির ফাঁকে যখনই ক্লান্ত লাগবে, স্প্রে করে নিন মুখে। ক্লান্তি তো কাটবেই, ত্বকও ভালো থাকবে।

ভরসা রাখুন জেড রোলারে

হালকা হাতে মুখে মাসাজ করলে রক্ত সংবহন বাড়ে, মুখ উদ্দীপ্ত দেখায়। হাতে মাসাজ না করে কিনে রাখুন জেড পাথর লাগানো রোলার। মাসাজের আগে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন রোলারটা। ঠান্ডা জেড রোলার দিয়ে মুখ মাসাজ করলে চোখের কোলের ফোলাভাব কমবে, মুখ সতেজ হয়ে উঠবে কয়েক মিনিটেই।

ক্লেনজ়ারে লেবুর সুবাস

সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধোওয়ার পর কী সতেজ লাগে না? এই একই সতেজতা আপনি পেতে পারেন দিনভর। সঙ্গে রাখুন লেবুর সুগন্ধযুক্ত ফেসওয়াশ। লেবুর চনমনে সুগন্ধ ক্লান্তি কাটিয়ে আপনাকেও সতেজ করে তুলতে সাহায্য করবে।

সাদা আই পেনসিল

কাজল ছাড়া চোখের সাজ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু অনেকের কাজল পরলে চোখ ছোট আর গর্তে ঢোকা দেখায়। ক্লান্ত মুখে কাজল পরলে তাই মুখ আরও বেশি ক্লান্ত লাগে। এই পরিস্থিতিতে চোখে কালো কাজল লাগানো যাবে না। বরং চোখের ওয়াটারলাইনে পরে নিন ন্যুড বা সাদা আই পেনসিল। ফ্যাকাশে রং পরলে চোখ বড়ো আর সজীব দেখাবে। এমনকী রাতে ঘুম না হলে চোখে বুলিয়ে নিতে পারেন সাদা আই লাইনার।

চোখের ভিতরের কোণে হাইলাইটার

রাতে ঘুম হয়নি ভালো, এদিকে সকালেই বেরুতে হবে। চোখ বড়ো আর উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে ভিতরের কোণে বুলিয়ে নিন সামান্য সিলভার হাইলাইটার। ক্লান্তিভাব কেটে যাবে কয়েক মুহূর্তেই।