চলতি বছর সরাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭০২ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৪৭ জন। মারা গেছেন ২৬৯ জন।

দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ৩২ জনের মৃত্যু এবং সাত হাজার ২৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯ অক্টোবর ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১২১ জন হাসপাতালে, ২০ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৯৮ জন হাসপাতালে, ২১ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৩৯ জন হাসপাতালে, ২২ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৩৯ জন হাসপাতালে, ২৩ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৩৮ জন হাসপাতালে, ২৪ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৯ জন হাসপাতালে এবং ২৫ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং ৪১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।