বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ৯ দশমিক ৭ শতাংশ হবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। বাজেটে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল।

যা করোনা মহামারি বাদ দিলে গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এমন পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিবছর এপ্রিলে ও অক্টোবরে দুইটি ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ প্রকাশ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এ প্রতিবেদনে নিম্ন প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

ওয়াশিংটনে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায়, বাংলাদেশের জন্য বাড়তি ঋণের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

এবারের আউটলুকে বিশ্ব জিডিপির প্রবৃদ্ধি স্থির থাকার কথা বলা হয়েছিল। যা ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে। আর ২০২৫ সালের পর বিশ্বের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে।

একইভাবে বিশ্বব্যাংকের এক পূর্বাভাসেও বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমবে বলে জানানো হয়েছিল। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে গত মাসে প্রাক্কলন দিয়েছিল।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে তথ্য উল্লেখ ছাড়া বাংলাদেশ নিয়ে আলাদা কোনো পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণ দেয়নি।

ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। বিদায়ী সরকারের পর বাংলাদেশের হাল ধরেছেন বিশ্ববরেণ্য প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ব মোড়লদের প্রত্যাশা- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির গতিধারায় যে অবদান রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের আন্তরিক সহযোগিতায় স্বল্প সময়েই ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি।