শাড়িতে নারীদের সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতা পায়। শাড়িতেই বাঙালি নারী সবচেয়ে সুন্দরী হয়ে উঠেন। অনেকে বিশ্বাস করেন শাড়ি পরলে শুধু সৌন্দর্যই বাড়ে না বরং আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

তবে এখনকার অধিকাংশ মেয়েই ঠিক করে শাড়ি পরতে পারেন না। আজ জানাবো কীভাবে সহজে শাড়ি পরবেন।

শাড়ি পরার সহজ টিপস

এখন মেয়েরা জিনস, সালোয়ারে বেশি অভ্যস্ত। শাড়ি পরতে চাইলে হাতের সামনেই পাওয়া যায় প্রফেশনালদের খোঁজ। শাড়ি ছাড়াও এমন পোশাক এখন পাওয়া যায় যে শাড়ি না হলেও চলে যায়। এছাড়াও রেডি টু ওয়্যার শাড়ি থাকে। যেখানে কুঁচি, আঁচল আলাদা করা থাকে। শুধু গুঁজে নিলেই হল। তাই এই রকম শাড়িও এখন খুব জনপ্রিয়। তবে যেমনই পোশাক থাকুক না কেন শাড়ির কোনও তুলনা নেই। ইউটিউবে সহজ পদ্ধতিতে শাড়ি পরার অনেক ভিডিও পাওয়া যায়। আজ রইল কিছু সহজ টিপস। এই পদ্ধতি মেনে শাড়ি পরলে একটা সেফটিপিনেই কাজ হয়ে যাবে।

প্রথমবার শাড়ি পরার সময় ভারী ফ্যাব্রিক কিংবা জটিল কোনও ফ্যাব্রিক বাচবেন না। যেমন – সিল্ক, ব্রোকেড, বেনারসী, তাঁত। হ্যান্ডলুম কিংবা নাইলন সবচেয়ে উপযুক্ত। সহজেই ম্যানেজ করা যায়। শাড়ির ওজন যেন বেশি না হয়। মুশকিলে পরবেন।

আঁচল না ছেড়ে প্লিট করে নিতে পারলেই ভাল। এতে সমস্য়া অনেক কম হয়। সামলে চলতেও সুবিধে হয়। যদি ডিজাইনার কোনও শাড়ি পরেন তাহলে একটা সেফটিপিন হলেই চলবে। বেশি হলে শাড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।

উচ্চতা ও শরীরের স্থুলতা বুঝে পেটিকোট বাচুন। মাপ অনুযায়ী পেটিকোট বানিয়ে নিতে পারেন। শাড়ি পরার আগে পেটিকোটের দড়ি শক্ত করে বাঁধুন। হালকা বাঁধলে শাড়ি খুলে যেতে পারে। তবে ভুল করেও সার্টিনের পেটিকোট কিনবেন না। এতে খুবই সমস্যা হয়। এই পেটিকোট থেকে শাড়ি স্লিপ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শাড়ি পরার আগে জুতো গলিয়ে নিন পায়ে। পরুন পেটিকোট। তারপর শাড়ি। এর কারণ, জুতোর উচ্চতা অনুযায়ী পেটিকোট পরতে হবে। পেটিকোটের আকার অনুযায়ী শাড়ি গুঁজে পরতে হবে। গোড়ালির উপরে যেন শাড়ি না থাকে। তেমনটা হলে ফ্যাশন ফঁ পা! তবে একটা বিষয় মাথায় রাখুন, খুব বেশি হিলওয়ালা জুতো পরবেন না। পরলে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। ভয় পেলে হোঁচট খেতে পারেন।

শাড়ি পরার নিয়ম

জুতো পরে নিন। তারপর পরুন পেটিকোট। দেখবেন, জুতো যেন দেখা না যায়। তারপর শাড়িটা খুলুন। কোথায় ফল বসানো আছে দেখে নিয়ে, ফলের দিকটা নীচের দিকে ভিতরমুখী করে নিন। উপরের কোণা ডানদিকে গুঁজুন। ১৮০ ডিগ্রি কোমরে পেঁচিয়ে শাড়ি গুঁজে নিন। শেষদিকটা আঙুলে প্যাঁচ কেটে আঁচল করে ফের শরীরের ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে বাঁ-কাঁধে ফেলুন। নীচে তাঁকিয়ে দেখুন শাড়ির অনেকটা অংশ মাটিতে লুটিয়ে আছে। সেই অংশটি নিয়ে ডান আঙুলে তুলে ফের প্যাঁচ দিতে থাকুন। একটাকে বলে কুঁচি দেওয়া। এবার নাভি বারবার গুঁজে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন কুঁচি মাটিতে লুটিয়ে না থাকে। কুঁচি সমান আছে কিনা সেটাও দেখে নিন। কাঁধের কাছে ব্লাউজের সঙ্গে আঁচলে সেফটিপিন লাগিয়ে নিন। সেফটি পিন লাগান কুঁচিতেও। ব্যাস, শাড়ি পরা হয়ে গেল।