শরীর নামের যন্ত্রটা মাঝেমধ্যে একটু খারাপ হতেই পারে। যেমন মাথা থাকলে যেমন মাথা ব্যথা হয়, তেমনি আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী শরীরের ছোটখাটো সমস্যা। সকল সমস্যায় তো ডাক্তারের কাছে ছুটে যাবার দরকার হয় না।

জটিল কোন সমস্যা না হলে আমরা নিজেরাই তা সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলি। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঠিক কী কী করা উচিত সেটা জেনে রাখা জরুরি।

*ভাইরাল কারণে সর্দিকাশি হয়েই থাকে। জেনে রাখুন এ সময় সবচেয়ে জরুরি পথ্যটির নাম মধু। আমাদের দেশে অনেকে মধুর সাথে লেবুর রস আবার কেউ সেই সাথে তুলসী পাতার রস খেয়ে থাকেন যা এ ধরনের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।

* নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ভীষণ বিরক্তিতর একটা সমস্যা। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে ফুটন্ত পানি নিয়ে তাতে সামান্য মেনথল দিয়ে নাকে ভাপ নিলে নাক দ্রুত খুলে যায়।

*অস্বস্তিকর সর্দি নিরাময়ে কাঁচা রসুনের কোয়া মুখে রেখে কিছুক্ষণ পর পর দাঁত দিয়ে সামান্য কেটে রস বের করতে হবে। রসুনের উৎকট গন্ধ সহ্য করে দিনে ৩-৪ বার রসুনের কোয়া এমনি ভাবে গ্রহণ করলে সর্দির অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা।

*হটব্যাগ আর বরফ – এই দু’টি জিনিস রাখুন হাতের কাছে। পিরিয়ডের সময় যাঁদের পেটে ব্যথা হয়, তাঁরা গরম সেঁক দিয়ে আরাম পান।

*কোথাও পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বরফ রুমালে বেঁধে ব্যথার জায়গায় বেঁধে রাখুন। ব্যথা কমতে আরম্ভ করলে গরম আর ঠান্ডা সেঁক দেবেন।

*পোড়া, ছ্যাঁকা লাগা সামলাতে প্রথমে ঠান্ডা পানি ঢেলে তার পর বরফ ঘষতে থাকুন যতক্ষণ না জ্বালা একেবারে কমে যাচ্ছে। জ্বালা কমার অর্থ অচ্ছে পোড়াটা ত্বকের গভীরে গিয়ে পৌঁছতে পারেনি।

*রান্না ঘরে কাজ করতে গিয়ে তেলের ছিটা পড়ে হাত পুড়েনি এমন রাঁধুনি কমই আছেন। সেক্ষেত্রে কাঁচা আলু ভালো ভাবে ধুয়ে আলুর রস বের করে পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগালে জ্বালা কমে যায়।

*কেটে গিয়ে খুব রক্ত পড়লে কাটা জায়গায় পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো বেঁধে নিন। এতে রক্ত বন্ধ হতে বাধ্য। তারপর অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে ড্রেসিং করে পরিষ্কার করে রাখুন।

*হেঁচকি কোন রোগ না হলেও খুব বিরক্তিকর বিষয়। হেঁচকির সময় জিভের উপর কিছুটা চিনি রেখে দিলে দ্রুত হেঁচকি বন্ধ হয় এমন বলেন অনেকে।

এছাড়া শ্বাস গ্রহণ করে নিশ্বাস বন্ধ রেখে পেটটা ফুলিয়ে আবার নামিয়ে আবার ফুলাতে হবে – এমন কয়েকবার করলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ডায়াফ্রামের পেশির এক্সারসাইজ হয় যা সাধারণত হেঁচকির কারণ বলে মনে করা হয়।