প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ছিল সবচেয়ে আলোচনায়। কোথাও কোথাও ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে আমদানি করা হয়েছে ৪৯৮ টন কাঁচা মরিচ। এর মধ্যে সোমবার ৫৬টি ট্রাকে ৩৮৬ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার ১২টি ভারতীয় গাড়িতে ১১২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্রুটস এজেন্সি, মেসার্স আল্লাহর দান, মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজসহ ২৮টি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে।

প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া কেজিপ্রতি আদমানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক দিতে হবে ৩৬ টাকা। সে হিসেবে আমদানীকৃত প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে ৯৬ টাকা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক-কর পরিশোধ করে আজ সন্ধ্যার আগেই মরিচবোঝাই গাড়ি বন্দর এলাকা ত্যাগ করেছে। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচা মরিচ যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে কাঁচা মরিচের দাম কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আমদানির খবরে বেনাপোল বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হয়েছে পণ্যটি। মঙ্গলবার বাজারে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ।

রাজিয়া সুলতানা নামে এক ক্রেতা জানান, কাঁচা মরিচ আমদানির খবরেই বাজারে দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কারণ ছাড়াই দাম বেড়েছে।