দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। দুবাই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার। দুবাই থেকে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন, তার এখন দেশে আসা হচ্ছে না।

দুবাইয়ে এমনিতেই লম্বা ট্রানজিট সাকিবের। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে তার দেশের বিমান ধরার কথা ছিল। বর্তমানে দুবাইয়ে থাকা সাকিব গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশে ফেরার কথা ছিল কিন্তু এখন হয়তো ফিরতে পারব না সিকিউরিটি ইস্যুর জন্য, আমার নিজের নিরাপত্তার জন্যই।

দেশে আসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে সাকিব বলেন, এখন সিদ্ধান্ত চূড়ান্তই বলতে পারেন।

যদিও বুদধাবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ অক্টোবর শুরু প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করা হয়েছে তাকে রেখেই। নির্বাচকেরা বিসিবির সবুজ সংকেত পেয়েই তাকে দলে রেখেছিলেন। আর বিসিবি সবুজ সংকেত পেয়েছিল সরকারের কাছে। তারপরও হঠাৎ করে সাকিবের নিরাপত্তা কেন একটা ইস্যু হয়ে গেলে, সেটি জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিসিবির কাছ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা আসেনি।

সাকিবের দেশে আসার খবর জেনে বুধবার শিক্ষার্থীরা তার কুশপুত্তলিকা পোড়ান। সাকিব দেশে ফিরলে তারা বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণাও দেন। তাকে যেন স্টেডিয়ামে না ঢুকতে না দেওয়া হয়, এ জন্য বিসিবির কাছে আবেদন জানাবে শিক্ষার্থীরা।

কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিনই সাকিব ঘোষণা দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে দেশের মাঠ থেকে এই সংস্করণকে বিদায় জানাতে চান তিনি। হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় দেশে ফেরা ও পরে নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়ার নিশ্চয়তা চেয়ে আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুরুতে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। সাকিবকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। পরে ফেইসবুকে দীর্ঘ বাতায় দুঃখপ্রকাশ করে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সাকিব। এতে বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কণ্ঠের সুরও পরে বদলে যায়। সাকিবকে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করা হয়।