নতুন করে আর কোনো ইটভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন ৩ হাজার ৪৯১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সব ইটভাটা স্থানান্তর করা হবে বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সভায় পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, ইটভাটার আধুনিকায়ন ও কার্বন নির্গমন কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ইটভাটার পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শুধু ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। তাই, লাইসেন্স ও ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা পরিচালনা করা যাবে না।

তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

ইটভাটার মালিক ও নেতারা ইটভাটা শিল্পের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের প্রস্তাব দেন। ইটভাটায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করে উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন তারা।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান-সহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সভায় ইতোমধ্যে গৃহীত কার্যক্রমগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।