কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিমের রাজশাহী বিভাগের প্রতিনিধি ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেছেন, ভারত আর আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের শত্রু। ভারত সীমান্ত দিয়ে মাদক এই দেশে প্রবেশ করে। আর এই মাদক প্রত্যেকটা পরিবারকে নষ্ট করছে। ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এই ভারত মদদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে বসিয়ে রেখেছিল এবং এই আওয়ামী লীগই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শহীদ সার্টু হল অডিটোরিয়ামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সমন্বয়কদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট ছোট বাচ্চা যারা স্কুলে পড়ে, যারা এখনো ভালোভাবে ম্যাচিউর্ড হয়নি তারাও এই গণঅভুথ্যানে শামিল হয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে এক মাসের মধ্যে উৎখাত করেছে। অভ্যুত্থান শেষে শুরু হয়েছে সমন্বয়ক সমন্বয়ক খেলা। আমি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক কিন্তু আমি এই পরিচয়টা দিতে খুব দ্বিধাবোধ করি। কারণ, আমি যখন দেখি, আমি একজন সমন্বয়ক হয়েও অক্ষত আছি কিন্তু আমার বন্ধুর হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন সফল হয়েছে শহীদ ও আহতদের বিনিময়ে। তাই এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। অনেক গোষ্ঠী নানানভাবে চেষ্টা করছে আমাদের বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। তাই আমরা সবাই বাংলাদেশের প্রশ্নে একত্রিত থাকব।

শেখ হাসিনার বিকল্প নেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দালালরা বলেছিল, শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। উনি নাকি বিকল্পহীন নেত্রী ছিলেন। হাসিনার চেয়ে হাজার হাজার গুণ ভালো একজন উপদেষ্টা আমরা পেয়েছি এবং তিনি বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার পাশে আছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ।

বাংলাদেশে আর কখনোই ফ্যাসিবাদ কায়েম করে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে দেব না বলেও মন্তব্য করেন এ সমন্বয়ক।