ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আবারও রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় হামলা চালিয়েছে তারা।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ করে দিয়ে হাইফা ও তিবেরিয়াস শহরে হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হন। এতে বেশ কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হিজবুল্লাহর দাবি, তারা ‘ফাদি ১’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হাইফার দক্ষিণে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে।

যার মধ্যে দুটি রকেট ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে হাইফাতে, অন্য পাঁচটি ইসরায়েলের তিবেরিয়াস শহরে আঘাত হানে।

উত্তর ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শহর হাইফা কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এখানে একটি বন্দর, তেল শোধনাগার এবং শিল্প কারখানা রয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে এবং তাদের অস্ত্রের গুদামে বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে। এছাড়া দক্ষিণ লেবানন এবং বেকা এলাকায় হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে তারা হামলা চালিয়েছে বলে জানায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন।

এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ।

এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।বৈরুতে এক হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জন নিহত হয়েছেন।