সাধারণত ক্লান্তি দূর করতে আমরা কফি খেয়ে থাকি। বৃষ্টি কিংবা অবসর সময়ে কফির কাপে চুমুক দিলে মনের ভিতরে আসে একটি চাঙা ভাব। স্বস্তির আভা দেয়া কিংবা ক্লান্তি দূর করা অথবা মাথার যন্ত্রণায় কফির তুলনা নেই। এছাড়াও কফির গুণের শেষ নেই। ওজন কমাতে যে কফি সাহায্য করতে পারে, এটা কয়জনেই জানেন? কফি সত্যিই সাহায্য করে পেটের অতিরিক্ত মেদ কিংবা বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিকের মতে, কফি রোগা হতে সাহায্য করে। তবে দুধ-চিনি মেশানো রাজকীয় কফি খেলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে। অনন্যা বলেন, চিনি, ক্রিম, দুধ দেওয়া কফি ক্যালোরি বাড়িয়ে তোলে। পেটের ভুঁড়ি যেমন ছিল, তেমনই থেকে যাবে।

তা হলে কীভাবে খেলে কফির উপকার পুরোদস্তুর পাওয়া যাবে—

কফি খেয়ে রোগা হতে চাইলে খেতে হবে চিনি ছাড়া কালো কফি। কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরে জমে থাকা ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করবে। কোনো শরীরচর্চা না করে যদি দিনে কয়েক কাপ কফি খাওয়া যায়, তা হলেও শরীরে ক্যালোরির খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।

শরীরচর্চার আগে যদি কফি খাওয়া যায়, তা হলে শারীরিক ক্ষমতা দ্বিগুণ হারে বাড়ে। তার মানে এই নয় যে ব্যায়ামের পরে কফি খাওয়া ক্ষতিকর। শরীরচর্চার পরে কফি দ্রুত চাঙ্গা এবং চনমনে হয়ে উঠতে সাহায্য করে। কফি বিভিন্ন ভাবে রোগা হতে সাহায্য করে। কারণ, কফি খেলে খিদে ও খাওয়ার ইচ্ছা কমে। কফিতে থাকা ক্লোরোজিনিক অ্যাসিড নামের ফাইটোকেমিক্যাল শরীরে গ্লুকোজ তৈরির হার কমিয়ে দেয়। যার ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতাও কমে।

‘হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’-এর মতে, কম ক্যালোরির সুষম খাবার ও পরিমিত ব্যায়ামের সঙ্গে দিনে কম করে ৩–৪ কাপ বা ৭২০–৯০০ মিলি-র মতো কফি খেলে সব দিক বজায় থাকে। তবে পেশিবহুল সুঠাম শরীর চাইলে আরও বেশি খেতে পারেন। কফি খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় আছে। চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে।

১) সকাল–দুপুর ও রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে খান। তা হলে বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। কারণ, পেট আগে থেকেই ভরা থাকবে।

২) কফি খাবার খাওয়ার পরেও খেতে পারেন। শরীরে চর্বি কম জমবে। খাবারের ক্যালোরিও কম শোষণ করবে শরীর।

৩) ক্লান্ত লাগলে কফির তুলনা নেই। কাজে গতি আনবে কফি। কাজ করতে পারবেন দ্বিগুণ উৎসাহে। বাড়বে ক্যালোরি খরচ।