ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতন ও খুনের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনাও চলমান। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে দুইজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কৃষ্ণনগর ও পুরুলিয়া থেকে দুইজনকেই খুন করা হয়।

কৃষ্ণনগরে ওই তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মুখ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে পুরুলিয়ায় বরাবাজার থানার সিন্ধি এলাকায় এক তরুণীর মৃতদেহ বালিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। তাকেও খুন করে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

মালদহে চার বছরের একটি শিশুকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কৃষ্ণনগরের ঘটনা কৃষ্ণনগরে তরুণীর দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল পুলিশ সুপার বা এসপির অফিসের পিছনে আশ্রমপাড়া বারোয়ারির উল্টোদিকের মাঠে। তরুণীর মুখ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল বলে তাকে চেনা যায়নি। বুধবার পথচারীরা প্রথম এই মরদেহ দেখতে পান। পরে কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে তাদের মনে হচ্ছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তরুণীর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তরুণীর বয়স ২০-২২ বছরের মতো হবে। তার পরিচয় পুলিশ এখনো জানতে পারেনি। তদন্ত চলছে। পুরুলিয়ার ঘটনা পুরুলিয়ায় কুমারী নদীর তসরুবাকি ঘাটের পাশে তরুণীর মৃতদেহ পুঁতে রাখা ছিল। ঘাটে রক্তের দাগ ছিল। তার কিছুটা দূরেই বালির উঁচু স্তূপে মৃতদেহ ছিল। এরপর বরাবাজার থানায় খবর দিলে পুলিশ আসে। তাদের অনুমান, এই তরুণীর বয়সও ২০ থেকে ২২ বছরের মতো হবে। তরুণীর দেহে জিনসের প্যান্ট, শার্ট ও গলায় ওড়না জড়ানো ছিল।

এই তরণীরও পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে যতই হইচই হোক না কেন, পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতন ও খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। দূর্গাপুজার আগে উৎসব নাম দিয়ে রাজ্যের কোন কোন জায়গায় ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তা ম্যাপে চিহ্নিত করে সামাজিক মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল।

আরজি করের ঘটনার পর অন্য জায়গায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার কথা এইভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। সেই তালিকায় আরো দুইটি ঘটনা যুক্ত হলো।