ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে পরবর্তী সরকারও আওয়ামী লীগের মতো শ্রমিকদের শোষণ করবে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত শ্রমিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাউফল উপজেলা সভাপতি মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা আমির অধ্যাপক শাহ আলম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের সহপরিচালক মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বাউফল উপজেলা উপদেষ্টা মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও পটুয়াখালী জেলা সভাপতি সাইদুর রহমান খান পাভেল।

ড. মাসুদ বলেন, স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছর অধিকার আদায়ে আন্দোলন করতে গিয়ে বহু শ্রমিককে জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু আজও শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা তাদের মতবাদ কায়েমের চেষ্টা করায় মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নামাজ রোজার মতোই আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ফরজ করেছেন। যতক্ষণ না বাংলার জমিনে আল্লাহর দ্বিন ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, জামায়াতে ইসলামী দ্বিন কায়েমের আন্দোলন করে। এই দ্বিন কায়েমের আন্দোলন করতে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বহু নেতাকর্মীকে হামলা-মামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে; এমনকি অসংখ্য নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে। তবুও জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী দ্বিন কায়েমের আন্দোলন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে পিছপা হয়নি। এমনকি কোনো নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েও যাননি, জনগণের সঙ্গেই রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যারা কৃষক-শ্রমিক-জনতাকে শোষণ করেছেন, মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছেন; তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’

ড. মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী কৃষক-শ্রমিক ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে জনগণের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। তবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় আসবে। এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে আর কাউকে অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিতে হবে না, জীবন দিতে হবে না।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিই হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ভোগের নিশ্চয়তা প্রদান করা।’