বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজ বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবেই খেলতেন। ব্যাটিংয়ে আট কিংবা তারও পরে নেমেছেন। তিনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিং দিয়েও দলে ভূমিকা রাখছেন। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পেয়ে উঠে এসেছেন ৭ নম্বরে।

ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ফর্মেই দেখাচ্ছেন মিরাজ। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেও দারুণ ঝলক দেখিয়েছেন তিনি। প্রধান শক্তির জায়গা বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ঝলমলে ৯৭ রান। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্র জুড়েই ব্যাটে-বলে ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

চলমান এই চক্রে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ৫০০ রান ও ৩০ উইকেটের ‘ডাবল’ পূরণ করেছেন মিরাজ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এই কীর্তি গড়তে পেরেছেন কেবল বেন স্টোকস ও রবীন্দ্র জাদেজা। চলমান চক্রে ব্যাট কিংবা বল; দুই বিভাগেই বাংলাদেশ দলের মধ্যে সবার ওপরে মিরাজ।

স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দলের সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের সঙ্গে তুলনা এসেছে মিরাজের। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মিরপুর টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি সাকিবের বিকল্প প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় মিরাজের কাছে। তবে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ও অলরাউন্ডারের সঙ্গে নিজের তুলনাই দিতে চান না মিরাজ।

বাংলাদেশ দলের এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আপনারা সবাই একটা কথা বলেন, সাকিব ভাইয়ের জায়গায় আমি (কীভাবে)! বাংলাদেশের হয়ে সাকিব ভাইয়ের তো অনেক অর্জন। তিনি একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়।’

দুজনের ক্যারিয়ারের গতিপথ টেনে মিরাজ বলেন, ‘আমি রান করা শুরু করেছি মাত্র এক-দুই বছর হয়, ধারাবাহিকভাবে যদি রান করা দেখেন। সাকিব ভাই শুরু থেকেই রান করেছেন। সাকিব ভাইয়ের জায়গায় সাকিব ভাই, আমি আমার জায়গায়। একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আরেকজনের তুলনা না করাই ভালো বলে আমার মনে হয়। আমরা জানি সাকিব ভাইয়ের অর্জন কতটা। আর আমি ৭-৮ নম্বরে ব্যাট করি। সাকিব ভাই সব সময় টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেছেন।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসের রানটা প্রথম ইনিংসে হলে ম্যাচটা ভিন্ন হতে পারত। দুই সেশনের আগেই অলআউট হয়ে গিয়েছি। এ জন্য পিছিয়ে পড়েছি। আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ইনিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।…আমরা যদি আরও ভালো বোলিং করতাম, বিশেষ করে আমি; নাঈম যদি আরও ভালো বোলিং করত, তাহলে প্রশ্ন উঠত না।’