বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলা-ভাঙচুর হওয়া র মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হয়েছে। ভাঙচুরের মাত্র দুই মাস ২৭ দিন পর চালু হয়ে স্টেশনটি । এতে মেরামত বাবদ খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করেছি, তাই সে সব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এ ছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।

ওইদিন বিকালে ভাঙচুরের শিকার হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন। এতে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ব্যবহার বন্ধ রাখতে হয়।

কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিগত আওয়ামী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, স্টেশন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে চালু করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে, খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা।

তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এলে এক বছর নয়, দুই মাসের মাথায় কাজীপাড়া মেট্রোস্টেশন, এরপর দুই মাস ২৭ দিনের মাথায় সচল হয় ব্যস্ততম স্টেশন মিরপুর-১০।